অমাধ্যম অনুমান গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর। Class 12th Philosophy important short Question Answer । ক্লাস ১২ দর্শন সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশন ২০২৫


অমাধ্যম অনুমান


১) অবরোহ অনুমান কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর:- অবরোহ অনুমানে দুই প্রকার।

যথা - মাধ্যম ও অমাধ্যম ।


২) অমাধ্যম অনুমান কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর:- যে অবরোহ যুক্তিতে একটিমাত্র আশ্রয় বাক্যের উপরে নির্ভর করে একটি সুনিশ্চিত সিদ্ধান্ত নিঃসরণ করা হয় তাকে বলা হয় অমাধ্যম যুক্তি।

যেমন -  সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব 

 কোন কোন মরণশীল জীব হয় মানুষ


৩) অমাধ্যম ও মাধ্যম অনুমান এর একটি পার্থক্য লেখ।

উত্তর:- যে অবরোহ যুক্তিতে সর্বদায় একটিমাত্র আশ্রয় বাক্য থেকে সিদ্ধান্ত নিঃসরণ করা হয় তাকে বলে অমাধ্যম যুক্তি।


৪) মাধ্যম যুক্তি কাকে বলে ?

উত্তর:- যে অবরোহ যুক্তিতে সর্বদায় একাধিক আশ্রয় বাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি নিঃসরণ করা হয় তাকে বলা হয় মাধ্যম যুক্তি।


৫) আবর্তন কাকে বলে?

উত্তর:- যে অমাধ্যম যুক্তিতে আশ্রয় বাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের স্থান পরিবর্তন করিয়ে একটি নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং যার গুণের কোন পরিবর্তন ঘটে না তাকে বলা হয় আবর্তন।


৬) আবর্তন এর ক্ষেত্রে আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তকে কি বলা হয়?

উত্তর:- আশ্রয় বাক্য - আবর্তনীয়

           সিদ্ধান্ত - আবর্তিত


৭)| বিবর্তন কাকে বলে?

উত্তর:- যে অমাধ্যম যুক্তিতে আশ্রয় বাক্যের বিধেয়ের বিরুদ্ধ পদ কে সিদ্ধান্ত রূপে গ্রহণ করা হয় এবং যেখানে গুণের পরিবর্তন ঘটে তাকে বলা হয় বিবর্তন।

যেমন -

সকল মানুষ হয় মরণশীল (A)

কোন মানুষ নয় অমর (E)


৮) আবর্তন এর গুন সংক্রান্ত নিয়ম টি লেখ।

উত্তর:- আবর্তনের গুন সংক্রান্ত নিয়ম টি হল, " আবর্তনীয় ও আবর্তিত এর গুন অভিন্ন হবে" অর্থাৎ আবর্তনীয় সদর্থক হলে আবর্তিত সদর্থক এবং আবর্তনীয় নঙর্থক আবর্তিত নঙর্থক হবে।


৯) আবর্তন এর ব্যাপ্যতা সংক্রান্ত নিয়ম টি লেখ।

উত্তর:- আবর্তনের ব্যাপ্যতা সংক্রান্ত নিয়মটি হল "যে পদ আবর্তনীয়ে ব্যাপ্য হয় নি সেই পদ আবর্তিতে ব্যাপ্য হতে পারবেনা "।


১০) কোন বচনের আবর্তন সম্ভব নয়?

উত্তর:- "O" বচনের আবর্তন সম্ভব নয়।


১১) আবর্তন কয় প্রকার ও কি কি?

উত্তর:- আবর্তন দুই প্রকার, যথা- সমাবর্তন বা সরল আবর্তন এবং অসম আবর্তন বা অসরল আবর্তন।


১২) A বচনের সরল আবর্তন এর একটি ক্ষেত্র লেখ।

উত্তর:- A বচনের সরল আবর্তন এর কয়েকটি ক্ষেত্র আছে তার মধ্যে একটি হল - যদি উদ্দেশ্য ও বিধেয় নির্দিষ্ট পদ হয় সেক্ষেত্রে A বচনের সরল আবর্তন সম্ভব।

যেমন - রবীন্দ্রনাথ হন গীতাঞ্জলির রচয়িতা (A)

গীতাঞ্জলির রচয়িতা হন রবীন্দ্রনাথ (A)


১৩) বিরুদ্ধ পদ কি?

উত্তর:- যে পদ মূল পদের পরিপূরক তাকে বলা হয় বিরুদ্ধ পদ।


১৪) পরিপূরক পদ কাকে বলে ?

উত্তর:- যে পদ মূল শ্রেণীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে সমগ্র শ্রেনীকে নির্দেশ করে তাকে বলা হয় পরিপূরক পদ।


১৫) বিবর্তনের গুন সংক্রান্ত নিয়ম টি লেখ।

উত্তর:- বিবর্তনের গুন সংক্রান্ত নিয়ম টি হল -

"বিবর্তনীয় ও বিবর্তিত এর গুন ভিন্ন হবে অর্থাৎ বিবর্তনীয় যদি সদর্থক হয় তাহলে বিবর্তিত নঙর্থক হবে এবং বিবর্তনীয় যদি নঙর্থক হয় তাহলে বিবর্তিত সদর্থক হবে"।


১৬) বিবর্তনের পরিমাণ সংক্রান্ত নিয়ম টি লেখ।

উত্তর:- বিবর্তনের পরিমাণ সংক্রান্ত নিয়ম টি হল -

"বিবর্তনীয় ও বিবর্তিত এর পরিমাণ একই হবে অর্থাৎ বিবর্তনীয় যদি সামান্য হয় তাহলে বিবর্তিত সামান্য হবে এবং বিবর্তনীয় যদি বিশেষ হয় তাহলে বিবর্তিত বিশেষ হবে"।


১৭) A, E, I ও O বচনের বিবর্তন কী হবে?

উত্তর:-

বিবর্তনীয়    বিবর্তিত

   A                 E

   E                 A

   I                  O  

  O                  I 


১৮) বস্তুগত বিবর্তন কী? উদাহরণ দাও। এই বিবর্তন এর প্রবক্তা কে?

উত্তর:- যে বিবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্ত এর গুন একই রেখে উদ্দেশ্য এবং বিধেয়ের বিপরীত পদকে উদ্দেশ্য ও বিধেয় রূপে গ্রহণ করা হয় সেই বিবর্তনকে বলা হয় বস্তুগত বিবর্তন।

যেমন - যুদ্ধ হয় অমঙ্গলদায়ক।

             শান্তি হয় মঙ্গলদায়ক।

বস্তুগত বিবর্তন এর প্রবক্তা হলেন বেইন


১৯) সমবিবর্তন কী? উদাহরণ দাও।

উত্তর:- যে যুক্তির ক্ষেত্রে প্রদত্ত বচন এর বিবর্তন করে তার আবর্তন করে পুনরায় বিবর্তন করা হয় তাকে বলা হয় সমবিবর্তন।

যেমন -

সকল মানুষ হয় মরণশীল (A)

সকল অমর হয় অমানুষ (A)

Post a Comment

Previous Post Next Post