নিরপেক্ষ বচনের বিভিন্ন অংশগুলি উদাহরণসহ আলোচনা কর। Higher Secondary Philosophy Question Answer 

 

উত্তর: যে কোন নিরপেক্ষ বচনে চারটি অংশ থাকে, যথা - (১) পরিমান (মানক), (২) উদ্দেশ্য পদ, (৩) সংযোজক (গুন) ও (৪) বিধেয় পদ।


(১) পরিমান:- কোন নিরপেক্ষ বচনের যে অংশটি দিয়ে উদ্দেশ্য অংশের পরিমান বা বিস্তৃতিকে সূচিত করা হয়, তাকেই বলা হয় পরিমান বা মানক বা পরিমানক। অর্থাৎ বচনের পরিমান নির্দেশক অংশটিকে বলা হয় পরিমান। এই পরিমানের ভিত্তিতে কোন নিরপেক্ষ বচন সমান্য না বিশেষ তা নির্নয় করা সম্ভব হয়।

(২) উদ্দেশ্য পদ:- বচনে যার সম্পর্কে কোন কিছু বলা হয়, তাকে উদ্দেশ্য বলে।

(৩) সংযোজক :- কোন নিরপেক্ষ বচনের যে অংশটি বচনের উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের মধ্যে সম্বন্ধ স্থাপন করে তাকে সংযোজক বলে। যে কোন নিরপেক্ষ বচনের বিধেয়টি উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোন কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করে। এই স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতির বিষয়টিকে প্রকাশ করে সংযোজক। এই ভাবে সংযোজকের ভিত্তিতে কোন নিরপেক্ষ বচন সদর্থক না নঞর্থক তা নির্নয় করা সম্ভব হয়।

(৪) বিধেয় পদ:- কোন বচনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে যা কিছু বলা হয়, তাকে ঐ বচনের বিধেয় বলে।


একটি উদাহারনের সাহায্যে নিরপেক্ষ বচনের উক্ত চারটি অংশ ব্যাখ্যা করা হল। যেমন -

সকল মানুষ হয় মরনশীল

উক্ত বচনটিতে মানুষ সম্পর্কে কিছু বলা হয়েছে, তাই 'মানুষ' পদটি হল উদ্দেশ্য। বচনটিতে মানুষ সম্বন্ধে মরনশীল কথাটি বলা হয়েছে বলে 'মরনশীল' পদটি হল বিধেয়। এখানে 'সকল' অংশটি দ্বারা মানুষ শ্রেনীর সম্পূর্ন বিস্তৃতিকে নির্দেশ করা হয়েছে, তাই 'সকল' অংশটি হল পরিমানক এবং 'হয়' অংশটির দ্বারা উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়ের স্বীকৃতিকে বোঝানো হয়েছে ফলে এই পদটি উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের সম্বন্ধ স্থাপক, তাই এটি হল সংযোজক।

Post a Comment

Previous Post Next Post