১) নিরপেক্ষ বচন কাকে বলে? গুন ও পরিমান অনুসারে নিরপেক্ষ বচনের শ্রেনীবিভাগ আলোচনা কর।
অথবা, নিরপেক্ষ বচনের চতুবর্গ পরিকল্পনা অলোচনা কর।
উত্তর:- বচনকে সাধারনত দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যথা সাপেক্ষ ও নিরপেক্ষ। যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের সম্বন্ধটি অন্য কোন শর্তের উপর নির্ভর করে না, তাকে বলা হয় নিরপেক্ষ বচন।
যেমন - ফুলটি হয় লাল ।
এখানে ফুলটিকে লাল হওয়ার জন্য অন্য কোন শর্তের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে না, তাই এটি নিরপেক্ষ বচন।
যে কোন নিরপেক্ষ বচনে চারটি অংশ থাকে, যথা -
• পরিমান (মানক),
• উদ্দেশ্য,
• সংযোজক (গুন) ও
• বিধেয়।
এই চারটির মধ্যে দুটি যথা গুন ও পরিমান অনুসারে পৃথক পৃথক ভাবে নিরপেক্ষ বচনকে ভাগ করা যায়। গুন অনুসারে নিরপেক্ষ বচনকে সদর্থক ও নঞর্থক এই দুই ভাগে আর পরিমান অনুসারে নিরপেক্ষ বচনকে সামান্য ও বিশেষ এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়। গুন ও পরিমানের একত্রিত অবস্থাতে নিরপেক্ষ বচনকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। নিম্নে নিরপেক্ষ বচনেরগুন ও পরিমান অনুসারে শ্রেনীবিভাগ আলোচনা করা হল
গুন ও পরিমানের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ বচনকে চার ভাগে ভাগ করা যায়, যথা-
(১) সামন্য সদর্থক
(২) সামান্য নঞর্থক
(৩) বিশেষ সদর্থক ও
(৪) বিশেষ নঞর্থক।
(১) সামান্য সদর্থক বচন (A):- যে বচনে বিধেয় পদটি সমগ্র উদ্দেশ্য জাতি সম্পর্কে কোন কিছু স্বীকার করা হয়, তাকে সামান্য সদর্থক বচন বলে।
যেমন- সকল মানুষ হয় মরনীল (A)
এখানে 'মরনশীল' পদটিকে সমগ্র মানুষ জাতি সম্পর্কে স্বীকার করা হয়েছে।
(২) সামান্য নঞর্থক বচন (E):- যে বচনে বিধেয় পদটি সমগ্র উদ্দেশ্য জাতি সম্পর্কে কোন কিছু অস্বীকার করা হয়, তাকে সামান্য নঞর্থক বচন বলে।
যেমন- কোন মানুষ নয় পূর্ণ (E)
এখানে 'পূর্ণ' পদটিকে সমগ্র মানুষ জাতি সম্পর্কে অস্বীকার করা হয়েছে।
(৩) বিশেষ সদর্থক বচন (I):- যে বচনে বিধেয় পদটিতে অংশত উদ্দেশ্য জাতি সম্পর্কে কোন কিছু স্বীকার করা হয়, তাকে বিশেষ সদর্থক বচন বলে।
যেমন- কোন কোন পশু হয় হিংস্র (I)
এখানে 'হিংস্র' পদটিকে আংশিক 'পশু' সম্পর্কে স্বীকার করা হয়েছে।
(৪) বিশেষ নঞর্থক বচন (0):- যে বচনে বিধেয় পদটিতে অংশত উদ্দেশ্য জাতি সম্পর্কে কোন কিছু অস্বীকার করা হয়, তাকে বিশেষ নঞর্থক বচন বলে। যেমন- কোন কোন পশু নয় হিংস্র (০)
এখানে 'হিংস্র' পদটিকে আংশিক 'পশু' সম্পর্কে অস্বীকার করা হয়েছে।
Post a Comment