নিরপেক্ষ বচন বলতে কি বোঝ? ইহা কত প্রকার ও কি কি? নিরপেক্ষ বচনে পরিমানকের ভূমিকা আলোচনা কর।
উত্তর:- বচনকে সাধারনত দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যথা সাপেক্ষ ও নিরপেক্ষ। যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের সম্বন্ধটি অন্য কোন শর্তের উপর নির্ভর করে না, তাকে বলা হয় নিরপেক্ষ বচন।
যেমন - ফুলটি হয় লাল।
এখানে ফুলটিকে লাল হওয়ার জন্য অন্য কোন শর্তের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে না, তাই এটি নিরপেক্ষ বচন।
যে কোন নিরপেক্ষ বচনে চারটি অংশ থাকে, যথা পরিমান (মানক), উদ্দেশ্য, সংযোজক (গুন) ও বিধেয়। এই চারটির মধ্যে দুটি যথা গুন ও পরিমান অনুসারে পৃথক পৃথক ভাবে নিরপেক্ষ বচনকে ভাগ করা যায়। গুন অনুসারে নিরপেক্ষ বচনকে সদর্থক ও নঞর্থক এই দুই ভাগে আর পরিমান অনুসারে নিরপেক্ষ বচনকে সামান্য ও বিশেষ এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়। গুন ও পরিমানের একত্রিত অবস্থাতে নিরপেক্ষ বচনকে চার ভাগে ভাগ করা যায়, যথা -
(১) সামন্য সদর্থক
(২) সামান্য নঞর্থক
(৩) বিশেষ সদর্থক ও
(৪) বিশেষ নঞর্থক।
কোন নিরপেক্ষ বচনের যে অংশটি দিয়ে উদ্দেশ্য অংশের পরিমান বা বিস্তৃতিকে সূচিত করা হয়, তাকেই বলা হয় পরিমান বা মানক বা পরিমানক। অর্থাৎ বচনের পরিমান নির্দেশক অংশটিকে বলা হয় পরিমান। এই পরিমানের ভিত্তিতে কোন নিরপেক্ষ বচন সমান্য না বিশেষ তা নির্নয় করা সম্ভব হয়। যদি কোন নিরপেক্ষ বচনের পরিমানক উদ্দেশ্যের সম্পূর্ন বিস্তৃতিকে সূচিত করে, তাহলে সেই নিরপেক্ষ বচনটি সামান্য বচন হবে আর যদি কোন নিরপেক্ষ বচনের পরিমানক উদ্দেশ্যের আংশিক বিস্তৃতিকে সূচিত করে, তাহলে সেই নিরপেক্ষ বচনটি বিশেষ বচন হবে।
যেমন -
সামান্য বচন :- সকল মানুষ হয় মরনীল (A)
এখানে 'মরনশীল' পদটিকে সমগ্র মানুষ জাতি সম্পর্কে স্বীকার করা হয়েছে অর্থাৎ মানুষ পদটির সম্পূর্ন বিস্তৃতি সূচিত হয়েছে।
বিশেষ বচন :- কোন কোন পশু হয় হিংস্র (I)
এখানে 'হিংস্র' পদটিকে আংশিক পশু সম্পর্কে স্বীকার করা হয়েছে অর্থাৎ পশু পদটির আংশিক বিস্তৃতি সূচিত হয়েছে।
Post a Comment